তাফসীরে ওসমানী

মাহমুদ হাসান দেওবন্দি (শায়খুল হিন্দ নামে সমধিক প্রসিদ্ধ; ১৮৫১–১৯২০ একজন ভারতীয় ইসলামি পণ্ডিত এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতের স্বাধীনতার জন্য রেশমি রুমাল আন্দোলনের অন্যতম সূচনাকারী ও মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম ছাত্র ছিলেন। তার শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম কাসেম নানুতুবি ও মাহমুদ দেওবন্দি। সুফিবাদে তিনি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি ও রশিদ আহমদ গাঙ্গুহির খলিফা ছিলেন।

Mahmud_Hasan_Deobandi Tafsire usmani

মাহমুদ হাসান দেওবন্দি (শায়খুল হিন্দ নামে সমধিক প্রসিদ্ধ; ১৮৫১–১৯২০) একজন ভারতীয় ইসলামি পণ্ডিত এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতের স্বাধীনতার জন্য রেশমি রুমাল আন্দোলনের অন্যতম সূচনাকারী ও মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম ছাত্র ছিলেন। তার শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম কাসেম নানুতুবি ও মাহমুদ দেওবন্দি। সুফিবাদে তিনি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি ও রশিদ আহমদ গাঙ্গুহির খলিফা ছিলেন।

 

তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের সদরুল মুদাররিসের (অধ্যক্ষ) দায়িত্ব পালন করেন এবং সামরাতুত তারবিয়াত, জমিয়তুল আনসার এবং নাযারাতুল মাআরিফের মত সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি উর্দু ভাষায় কুরআনের অনুবাদক এবং আদিল্লায়ে কামিলাহ, ইজাহ আল-আদিল্লাহ, আহসান আল কিরা ও জাহদ আল মুকিল গ্রন্থসমূহের রচয়িতা। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে হাদিস শিক্ষাদানের পাশাপাশি সুনানে আবু দাউদের অনুলিপি করেছিলেন। তার প্রধান ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন
❖ আশরাফ আলী থানভী,
❖ আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি,
❖ হুসাইন আহমদ মাদানি,
❖ কেফায়াতুল্লাহ দেহলভি,
❖ উবায়দুল্লাহ সিন্ধি,
❖ শাব্বির আহমদ উসমানি,
❖ আজিজুর রহমান উসমানি ও
❖ ইলিয়াস কান্ধলভি।  

তিনি ব্রিটিশ শাসনের কট্টর বিরোধী ছিলেন। ভারতে তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার জন্য তিনি আন্দোলন শুরু করেন কিন্তু ১৯১৬ সালে গ্রেপ্তার হয়ে মাল্টায় কারাবন্দী হন। তিনি ১৯২০ সালে মুক্তি লাভ করেন এবং খিলাফত কমিটি তাকে ‘শায়খুল হিন্দ’ (ভারতের নেতা) উপাধি প্রদান করে। তিনি অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে ফতোয়া প্রদান করেছিলেন এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্তির জন্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেন। তিনি ১৯২০ সালের নভেম্বরে জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের দ্বিতীয় সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং সংগঠনটির সভাপতি মনোনীত হন। তার স্মৃতিতে শায়খুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদ হাসান মেডিকেল কলেজের নামকরণ করা হয়েছে। ২০১৩ সালে ভারত সরকার তার রেশমি রুমাল আন্দোলন নিয়ে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে।